ওজন কমানোর সহজ উপায়

ওজন কমান সহজে
আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আবারো চলে এসেছি আমি আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ মানুষই অতিরিক্ত ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছে। অতিরিক্ত ওজন আমাদের শরীরের জন্য একটি অভিশাপ স্বরুপ। অল্প বয়সেই আপনাকে মনে হবে যেন আপনার বয়স স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অতিরিক্ত ওজন আপনার যেরকম সৌন্দর্য নষ্ট করে তেমনি আপনার বিভিন্ন কাজে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন এর কারনে আপনি যেকোনো ধরনের চাকরি করতে পারবেন না। আপনি যেকোনো ধরনের কাজ করতে গেলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন । অতিরিক্ত ওজনের ফলে আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই টাকা পয়সা নষ্ট করে অস্ত্র পাচার করে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট সেবন করে থাকেন। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পুষ্টিকর খাবার, তেল চর্বি মুক্ত খাবার, বাহিরের খাবার পরিহার করা এবং নিয়মিত বিয়াম করা। এ সকল নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে একটি সুন্দর ফিট দেহ পেতে পারেন।।ওজন কমানোর সহজ উপায়
তাই, কিভাবে সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারবেন, এমন কিছু উপকারী উপাদান সম্পর্কে আপনাদের বলবো।
  • পানি:- প্রথমেই আমরা যে জিনিসটির কথা বলতে পারি সেটি হলো পানি। সকল ধরনের বড় বড় সমস্যা সমাধানের একটি কার্যকারী তরল জাতীয় খাবার হলো পানি। পানি এমন একটি খাবার যা আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি কমাতে দ্রুত সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারের আগে ২ ক্লাস করে পানি পান করুন এতে করে আপনার ক্ষুধা কমে যাবে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
  • শসা:- আপনারা হয়তো জানেন যে ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী খাবারের মধ্যে একটি হলো শসা। শসার প্রায় বেশিরভাগ অংশই হলো পানি। তাছাড়াও কিছু আঁশ রয়েছে শসাতে যা আমাদের দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।ক্যালোরির কথা বলতে গেলে শসা তে এর পরিমান অনেক কম।নিয়মিত এক গ্লাস শসার জুস ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • লেবু:- ওজন কমানোর জন্য একটি সহজ ও ঘরুয়া পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো লেবু পানি।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস এবং এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে খেয়ে নিন। লেবুতে রয়েছে পেপটিন ও ফাইবার নামক উপাদান যা আপনার ক্ষুদা কমাতে সাহায্য করবে এবং ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করবে। তাছাড়াও যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও এটি উপকারী একটি পদ্ধতি।
  • জিরা:- এখন আমি আপনাদের যে জিনিস সম্পর্কে বলবো এইটা আমাদের সবার পরিচিতি একটি মসলা জাতীয় খাবার জিরা। জিরাতে রয়েছে প্রায় ২৫ টি ও বেশি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। কিন্তুু আমরা এটি কে যে ভাবে খেয়ে থাকি তার ফলে, এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।জিরা কে আপনি যেভাবে খেলে ভালো উপকার পাবেন । পানিতে জিরাকে কিছু সময়ের জন্য ভিজিয়ে রাখুন তারপর জিরা সহ বা পানি ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
  • পরিশ্রম:- আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ খুবই কম পরিশ্রম করে থাকে। তার কারণে শহরের মানুষ বেশি স্বাস্থ্যবান এবং অসুস্থ হয়ে থাকে।শহরের মানুষ বেশিরভাগ সময় অবসর থাকে। তাদের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায় কিন্তু সেই তুলনায় গ্রামের মানুষ অনেক বেশি পরিশ্রমই হয় তাই তাদের শরীর পাতলা হয়।
  • ঘুম:-ঘুম এমন একটি জিনিস যে এটা হতে পারে আপনার শরীরের জন্য উপকারী আবার হতে পারে ক্ষতিকর ।অতিরিক্ত ঘুম আপনার শরীরে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে , সঠিক নিয়ম মেনে ঠিক সময়ে ঘুমানো উচিত ।আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে ঘুম কমাতে হবে ।অতিরিক্ত ঘুমের ফলে আপনার ওজন বাড়তে পারে এবং আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে।একজন স্বাভাবিক মানুষের জন্য ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট ।কিন্তু যদি আপনি এর বেশি সময় ধরে ঘুমান তাহলে আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে যাবে এবং আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে।।

উপদেশ-আপনাকে অবশ্যই তেল- মশলা জাতীয় খাবার, ভাজাপুরি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।আপনার খাবার তালিকায় সালাত যুক্ত করুন ফলমূলের মাত্রা বাড়িয়ে দিন, বেশি বেশি সিদ্ধ শাক-সবজি খেতে পারেন শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য।অবশ্যই চেষ্টা করবেন রাতের খাবার খুবই অল্প পরিমাণে খাওয়ার জন্য। তাছাড়াও ভাতের পরিবর্তে রুটি খাওয়ার চেষ্টা করুন।

Leave a Comment